মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কি হারালো (Part 17) | Revive Your Iman
এ ভিডিও তে যে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছেঃ
খৃষ্ট ধর্মের আগমন ও রোমানদের খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ ,খৃষ্ট ধর্মে মুর্তি পূজার মিশ্রণ ,বৈরাগ্যবাদদের ক্ষেপামি ও পাগলামী, নীতি নৈতিকতা ও সভ্যতা সংস্কৃতি স্বভাব-বিরুদ্ধতার প্রভাব,পাদ্রীদের দুর্নীতি ও অবাধ ভোগ বিলাস , গীর্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে দন্দ , ক্ষমতার অপব্যবহার ও ইউরোপ সভ্যতার উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া , ধর্ম গ্রন্থের সংযোজন পরিমার্জন বিকৃতি সাধন , ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে সংঘাত , গির্জার জুলুম , ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
বিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য
মুসলিম উম্মাহর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এ পর্যন্ত যা কিছু লেখা হয়েছে, তার মধ্যে, কোনো সন্দেহ নেই, ‘মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?’ হচ্ছে সবচেয়ে তথ্যপূর্ণ ও বাস্তবমুখী এবং সবচেয়ে দরদপূর্ণ ও উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী কিতাব। গ্রন্থের শুরুতেই পাঠক পৃথিবীর এক পঙ্কিল মুখচ্ছবি দেখতে পায়। জাহিলায়াতের গাঢ় অন্ধকারে তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। কোথাও সে স্বর্ণরৌপ্যের গাঁথুনিতে শাসকের প্রমোদ-নিকেতন নির্মিত হতে দেখে, সোনারুপার পিপা-পেপায়ালাগুলো তার সামনে মূর্ত ওঠে; আবার কোথা হতে নিষ্পেষিত শাসিতের বুকফাটা আর্তনাত ভেসে আসে, নিপীড়িত মানুষের নিদারুণ হাহাকার তার হৃদয়কে এপার-ওপার করে। অতঃপর সেই আঁধার ভেদ করে ইসলাম-রবির উদয় হয়, যার আলোতে গোটা পৃথিবী আলোকিত হয়। তাওহিদের আহ্বান হেরাগুহা থেকে হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ পর্যন্ত ধ্বনিত হতে থাকে। মানুষের দাসত্ব ছেড়ে মানুষ দলে দলে আল্লাহর দাসত্বে এবং ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসতে থাকে। পাঠকের হৃদয় উৎসাহ-উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণার সঞ্জীবনী সুধায় ভরে ওঠে।
এরপর লেখকের কলমে বড় বেদনাময় চিত্র ফুঠে ওঠে। সে চিত্র মুসলিম উম্মাহর দুর্দিনের চিত্র, নেতৃত্ব থেকে তাদের দূরে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চিত্র, তাদের অধঃপতনের করুণ চিত্র। যে অধঃপতন একদিকে ছিল যেমন আত্মিক, অন্যদিকে তেমনি বাহ্যিক। পাঠকের চোখের সামনেই ইসলামী খেলাফতের পতন ঘটে এবং বিশ্ব-নেতৃত্বের হাতবদল হয়। যে মঞ্চে সত্যের মহিমা কীর্তিত হতো, তাতে পাঠক বস্তুবাদের জয়-জয়কার শোনে। এরপর লেখক তুলে ধরেন, মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারিয়েছে, মানবতার কী ক্ষতি হয়েছে? এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তথা বিশ্বের বিনির্মাণে কী উপাদান প্রয়োজন?
‘মুসলামানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?’ মূল আরবি বইটি আরববিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি পুস্তক। এ পর্যন্ত এর সত্তরোর্ধ্ব সংস্করণ কেবল আরববিশ্বেই প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় এটি অনূদিত হয়েছে। বাংলা ভাষায়ও এর একাধিক অনুবাদ প্রকাশ পেয়েছে। লেখকের পরিচয় সম্পর্কে শুধু ‘আলী মিয়াঁ নদবী’—এতটুকু বলাই যথেষ্ট; তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর ইসলামী চিন্তানায়ক এবং মুসলিম উম্মাহর একজন দরদী অভিভাবক।
#ReviveYourIman
facebook link:https://www.facebook.com/reviveuriman
লেখকের জীবনীঃ
সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. আল্লাহর পথের এক মহান দাঈ.ইলমে ওহীর বাতিঘর যুগশ্রেষ্ঠ মনীষী। খাঁটি আরব রক্তের গবিত বাহক।বিশ্বময় হেদায়েতের রোশনি বিকিরণকারী উম্মতের রাহবর ও মুরুবিবি। কল্যাণের পথে আহ্বানে চিরজাগ্রত কর্মবীর। জন্ম ১৯১৪ ঈসান্দে। ভারতের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার সূতিকাগার উত্তর প্রদেশের রাজধানী লাখনৌর রায়বেরেলীতে। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া আদ্যোপান্তই দারুলউলুম নদওয়াতুল উলামায়। অধ্যাপনা জীবনের সিংহভাগও এই প্রতিষ্ঠানে নিবেদিত ছিলেন। আল্লামা নদভীর খ্যাতির সূচনা হয় বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকে তির কন ম্ খাসরান অয বন তিল নন দেপনগননের পতন বি 'রচলা করেন 'মা যা (মুসলমানদের পতনে হারাল) নামক কালজরী হয তাকে শ্বমত আরবীবেে ও পরবর্তীতে বৈষবিব সুখ্যাতি এনে দেয়৷ এ বত গ্রহটি] শতশত সংস্করণ বের হয়েছে। বিগত প্রায় পৌনে এক শতাব্দী ধরে তার কলম অবিশ্রান্তভাবে লিখেছে মুসলিম ইতিহাসের গৌরদীপ্ত অধ্যায়গুলোর ইতিবৃত্ত। সীরাত থেকে ইতিহাস, ইতিহাস থেকে দর্শন ও সাহিত্য পর্যন্ত সর্বত্রই তার অবাধ বিচরণ। উর্দু থেকে তার আরবী রচনায় যেন অধিকতর অনবদ্য। আল্লামা নদভী জীবনে যেমন পরিশ্রম করেছেন, তেমনি তার স্বীকৃতিও পেয়েছেন। মুসলিম বিশ্বের নোবেল হিসেবে খ্যাত বাদশাহ হুমা আভর্জাতিক গুরুর লাভ করেল ১ কস্টালে দুবাই তিনি ব্যসেরা আতর্জাধিক ইসলামী ব্যক্ত নির্বাচিত হন।১৯৯৯ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক সেন্টারের পক্ষ থেকে আলী নদতীকে সুলতান ক্রনাই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক বহু ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সদস্য ছিলেন। তিনি একাধারে রাবেতায়ে আলমে ইসলামী এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি ছিলেন। লাখনৌর বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুলউলুম নাদওয়াতুল-উলামা' এর 'রেকটর ও ভারতীয় মুসলনমানদের এঁক্যবদ্ধ প্লাটফরম মুসলিম পারসোন্যাল ল' বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। ইসলামের এই মহান সংস্কারক ১৯৯৯ সনের ৩১ ডিসেম্বর জুমার আগে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াতরত অবস্থায় ইন্তিকাল করেন।
বইটি সম্পর্কে মিসরের সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ রহ. এর অভিমত 'এগ্রন্থ পাঠ করার পর হয়তো পাঠক তীব্রভাবে এমন এক নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন ইসলামের আধ্যাত্মিক শক্তির ওপর যার থাকবে পূর্ণ আস্থা। বিশ্বনেতৃত্বের পালাবদল গ্রহটিতে যেখানে নেতৃত্বের গুণাবলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেখানে লেখক আধ্যাত্মিক শক্তির সাথে সাথে সমরাস্ত্র ও সমরবিদ্যা, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, অর্থনীতি, বাণিজ্যনীতি, আত্মনির্ভরশীলতা এ সবকিছুকে অনর্থক মনে করে ছেড়ে দেননি; বরং পর্যাপ্ত আলোচনা করেছেন। নিঃসন্দেহে গ্রহটি মানবজীবনে প্রতিক্রিয়াশীল প্রত্যেক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্যে সমুজ্জীবিত ও পরিচ্ছন্ন একটি ভাবনা। যে ভাবনাকে ইতিহাসের সামনে রেখে পরিপাটি করা হয়েছে এবং উম্মতে ইসলামিয়াকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা পুরোপুরি যথার্থ ।' বই -মুসলমানদের পতনে বিশ্বমানবতা কী হারাল? লেখক -সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.